Monday, July 08, 2013

গ্রামটির নাম গোকর্ন ।ডাকঘর পাকশিয়া থানা শার্শা জেলা যশোহর ।খুলনা বিভাগ

সালটা ২০১৩ মাঝামাঝি ।গ্রামটির নাম গোকর্ন ।ডাকঘর পাকশিয়া থানা শার্শা জেলা যশোহর ।খুলনা বিভাগ ।গ্রামের ৫০০০ জনসংখ্যা ।এর মধ্য ২৫০ ছাত্র ছাত্রী ।৩০০ লোক প্রবাসে থাকে ।এই গ্রামের ৫০০০ লোকের ভোটের শতকরা ৯৮% বিএনপি জামাত করে ।আর এটাই তাদের জীবনে অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে ।কেননা তারা যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে সেটা চলাচলের অযোগ্য ।বর্ষাকালে হাটু সমান কাদা থাকে ।তো ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না ।কেননা তাদের স্কুল গ্রাম থেকে ২ কিমি দুরে আর পুরাটাই কাদায় টইটুম্বুর ।অনেক সময় দেখা যায় ছাত্ররা মাঝ পথে কাদায় পড়ে লজ্জায় বাড়ি ফিরে আসছে ।এতে করে নষ্ট হচ্ছে তরুন সমাজ ।তারা এজন্য জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যাবসায় ।বলাবাহুল্য এটা ভারতীয় সীমান্ত এলাকা ।তো এই গ্রামে আছে শিক্ষিতের হার খুব ভাল যেমন ৭০% ।তো এ বিষয় নিয়ে স্হানীয় সংসদ সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন (আওয়ামীলীগ)।যিনি এলাকার সব হাওড়বাওড় নিজের নামে করে নিয়েছেন।তিনি বলেন,ওই রাস্তায় তো আওয়ামীলীগের কেউ যায় না যাই তো সব বিএনপির ছাগলরা ।তো ভাই এই কথা শুনে আমার মনে হল এই জনপ্রতিনিধি দেশকে সেবা নয় দলকে সেবা করতে নির্বাচিত হয়েছেন । হায়রে কপাল !তো একথা শুনে এই গ্রামের লোকজনের কান্নাকাটি করা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা ।উল্লেখ থাকে যে এই গ্রামের ৪ জন বিসিএস ক্যাডার ও ২ জন নন ক্যাডার বাসিন্দা আছে ।কিন্তু তারা তো থাকে ঢাকায় তাদের কি আর এই অভাগা গ্রামের দিকে তাকানোর সময় আছে ।এই গ্রামের কেউ যদি গর্ভবতী হয় তো তাকে আগে থেকে গ্রাম ছাড়তে হয় ।তার কারন এই যাতায়াত ব্যাবস্হা ।আর এই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হতে হলে একটু কাঠখড়ি পুড়াতে হয় ।কারণ একই ।উল্লেখ থাকে যে এই গ্রামের রাস্তাটিই এলাকার চলাচলের প্রধান রাস্তা ।এটা যশোর টু শাড়াতলা প্রধান রোড ।এই রোড দিয়ে যেতে বীরশ্রেষ্ঠ নূরমোহাম্মাদের মাজারে ।ও কলেজে ।তো এই এলাকার মানুষের প্রাণের চাওয়া যেন রাস্তাটি পাকা হয় ।প্লিজ বিষয়টি শেয়ার করে মিডিয়ার নজরে আনতে সাহায্য করুন ।এবং দেশকে উন্নতির দিকে একধাপ এগিয়ে দিন ।My fb add me.........

No comments:

Post a Comment